বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পিলার পাঠদান চলছে,ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে খাগড়াছড়ি পানছড়ি উজেলার চেংগী সারিবালা স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ভবনের চাল উপড়ে যায়। ভবনের দুটি পিলারও দুমড়ে মুচড়ে যায়। চাল ঠিক করা হলেও পিলার দু’টি মেরামত করা হয়নি।
বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পিলার পাঠদান চলছে
বর্তমানে পিলার দুটো ঝুলন্ত অবস্থায় কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি নিয়ে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
২ এপ্রিল রাতের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া পাকা টিন সেডের নির্মিত ভবনটির বারান্দায় দুটি পিলার ঝুলে আছে। শতভাগ ঝুঁকিতে আছে ভবটি। ঝুঁকিপুর্ণ দুই পিলার ঘেঁষে ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করছে। যেকোনো সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
২০১৫ সালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা চেংগী সারিবালা স্মৃতি মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বিশাল এলাকাজুড়ে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত একমাত্র কলেজ এটি। কলেজটির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় বর্তমানে ১৮৩ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১৩৭ ও ছাত্রী ৪৬ জন।
চেংগী সারিবালা স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বলেন, উপড়ে নেওয়া টিনের চাল নিজেদের অর্থায়নে মেরামত করা হয়েছে। তবে পিলার দুটো আজও ঠিক করা হয়নি।
২ নম্বর চেংগী ইউপি চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা বলেন, পিলার দুটো ঝুঁকিতে রয়েছে তা আমি নিজেই দেখেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করব।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। তাছাড়া কোনো আবেদনও আমার হাতে আসেনি।
লিচুর সমাহার খাগড়াছড়ির বাজারে,খাগড়াছড়ির হাট বাজারে এখন মৌসুমি ফলের সমাহার। সকাল হতে না হতেই মৌসুমি ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন বাগানি ও ব্যবসায়ীরা। বাগান থেকে তুলে আনা তাজা বিষমুক্ত ফল পেয়ে খুশি স্থানীয় ও পর্যটকরা।
লিচুর সমাহার খাগড়াছড়ির বাজারে
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতেই মৌসুমি ফলের বাজার দখল করেছে রসালো মিষ্টি স্বাদের লিচু। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বাজারে মিলছে বাহারি লিচু। শুধু হাট-বাজারে নয়, পাহাড়ি সড়কেও লিচুর ঢালি সাজিয়ে বসেন চাষিরা।
খাগড়াছড়ির গুইমারা, পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা বাজারে লিচু বিক্রি চোখে পড়ে। সকাল থেকেই মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা আর সিএনজিতে করে বাজারে আনা হয় লিচু। চোখের পলকেই এসব লিচু চলে যাচ্ছে ভোক্তাদের হাতে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে ফলের দোকানগুলো। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত হচ্ছে জেলার বাইরেও।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
এ মৌসুমে লিচুর চাহিদাই বেশি। মৌসুমি ফলের বাজার এখন লিচুর দখলে। দেশি লিচুর চেয়ে চায়না টু এবং চায়না থ্রি লিচুর চাহিদা বেশি। ফলন বেশি হলেও আকারে ছোট হওয়ায় গতবারের চেয়ে এ বছর লিচুর দাম কম। দেশি লিচু ১০০টি ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে এবং চায়না টু ১০০টি ১২০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চায়না থ্রি জাতের লিচু বাজারে আসতে আরও ১৫ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বাগানিরা।
মাটিরাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয়দের পাশাপাশি পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছেও সমাদর আছে পাহাড়ের তাজা ও বিষমুক্ত লিচুর। সমতলের জেলায়ও পাহাড়ের লিচুর ব্যাপক চাহিদা আছে। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা যাচ্ছে। তবে এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় বাগানি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
পানছড়ির রিয়াং ছড়ার লিচু বিক্রেতা মনিতা চাকমা ও মরাটিলার জগদীশ ত্রিপুরা জানান, দেশি লিচু হলেও দাম ভালোই পাচ্ছি। তবে বৃষ্টি না হওয়া লিচু আকারে অনেক ছোট। দাম পেয়ে ক্রেতারাও খুশি।
পানছড়ি-উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। তাপদাহের কারণে সময়ের এসব লিচু বাজারে এসেছে। তবে সুমিষ্ট চায়না থ্রি লিচু বাজারে আসতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে।
২২শ কোটি টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা খাগড়াছড়িতে,খাগড়াছড়িতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। তাই খুশি সবুজ পাহাড়ের আমচাষিরা। এখানে প্রতি বছর বাড়ছে বাগান। যুবকরা বাগান করছেন বেশি। আম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।
২২শ কোটি টাকার আম বিক্রির প্রত্যাশা খাগড়াছড়িতে
জেলায় প্রায় ৪ হাজারের মতো আম বাগান রয়েছে। ৩ হাজার ৭৯৩ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১০ থেকে ১২ মন আম পাওয়া যাবে। প্রতি কেজি আম ৫০ টাকা করে বিক্রি হলে এ বছর কৃষকরা ২২শ কোটি টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন।
তবে অনাবৃষ্টির কারণে এবার আমের আকার ছোট হয়েছে বলে জানান চাষিরা।
খাগড়াছড়ি সদরের রোওয়াসায়াপাড়া এলাকার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা পরিপক্ক আম সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পারছেন। শ্রমিকরা গাছে উঠে আম সংগ্রহ করছেন। আবার কেউ বাছাই করে ঝুকিতে আম রাখছেন। ঝুড়ি ভর্তি হলে পিকাআপভ্যান ও চাঁদের গাড়িতে করে শহরের বিভিন্ন স্থানে রাখছেন। পরে সেখান থেকে সারাদেশে আম পাঠাচ্ছেন। এভাবে বাগান মালিকরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রোওয়াসায়াপাড়া এলাকার আম বাগানের মালিক বলেন, আমার পনের একরের তিনটি আম বাগান থেকে এবার ৬০ থেকে ৭০ টন আম পাওয়া পাব। তাতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করি।
বাগান মালিক বলেন, বাগানে বেশির ভাগ আম্রপালি, বারি-৪, বাঙ্গুয়েসহ তার পাশাপাশি কিছু বিদেশি জাত আছে। গোপালভোগ, ফজলি বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে প্রশিক্ষণ ও সার কীটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করছে।
পানখাইয়াপাড়া এলাকার আম বাগান বলেন, গত বছর চাইতে এ বছর ফলন প্রচুর। নিজের ত্রিশ একর জমিতে তিনটি বাগানে আছে। এছাড়া চুক্তিতে বাগানের আম বিক্রি করে দেড় কোটি টাকা পাব বলে অশা করি।
এ বছর ভালো আবহাওয়ার কারণে ফলন যতেষ্ট ভালো বলা যায়। তবে অনা বৃষ্টির কারণে আমের আকার ছোট হয়েছে আম্রপালিসহ সকাল জাত। তাছাড়া ফলন ভালো।
গত বছর তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। ২৫ একর টিলার মধ্যে আম বাগানে আম্রপালি, রাঙ্গুয়ে, বারি-৪ সহ বিভিন্ন প্রজাতের সব মিলিয়ে ৮টি বাগান আছে। আট বাগানে এ বছর দেড়শ টন ফলন পাওয়া বলে আশা করি তাতে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় হবে।
মারমা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুষি চৌধুরী বলেন, গত বছরের চাইতে এ বছর সমিতির ৮২ জন সদস্যের সবার বাগানে ফলন ভালো হয়েছে। আগাম বৃষ্টি না হওয়ায় আমের আকার ছোট এসেছে।
বাবুষি চৌধুরী বলেন, আম বিক্রি শুরু হলে তিনটা প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত টোল দেওয়ার কারণে আম কিনতে ব্যাপারীরা খাগড়াছড়িতে আসছে না। তাছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসে টাকা নেয় বেশি। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে এক কার্টন আম পাঠালাম এসএ পরিবহনে, কেজি প্রতি ২০ টাকা নিল।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
খাগড়াছড়ি ফলজ বাগান মালিক সমবায় সমিতির প্রধান উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিংকু বলেন, জেলায় প্রায় ৪ হাজারের মতো আম বাগান আছে। গত বছর তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। বাজারজাত নিয়ে চিন্তায় আছি। খাগড়াছড়ির টোল কেন্দ্রগুলো ডাকাতি করে। পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙ্গামাটি ও বান্দরবনে করে না।
তার কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা টোলকেন্দ্রের ডাকাতির কারণে খাগড়াছড়িতে আম কিনতে আগ্রহ কমিয়ে পেলেছে। প্রশাসনের আন্তরিকতা সদিচ্ছা লাগবে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আম উৎপাদনের উল্লেখ্যযোগ্য জেলা। এই জেলার মাটির পুষ্টি উপাদান জলবায়ু আম উৎপাদনের উপযোগী। বিভিন্ন প্রজাতির আম উৎপাদন হয়। যেমন খাগড়াছড়ির বিখাত সুমিষ্ট আম্রপালি আম, বারি-৪ সহ অন্যান্য জাতের আম।
খাগড়াছড়ির খেজুরবাগান হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী কর্মকর্তা সুজন চাকমা বলেন, বর্তমানে আম চাষিরা আধুনিক চাষাবাদ প্রদ্ধতি ব্যবহার করছে। যার ফলে ভালো ফলন পাচ্ছে। আমরা বাগানে গিয়ে চাষিদের পরামর্শ দিয়। নতুন নতুন জাত উৎপাদন করে থাকি এবং চাষিদের সরকারি নির্ধারিত মূলে চারা বিতরণ করে থাকি।
তিনি বলেন, বাগানিরা বছরে যে লাভটা পায় ওই লাভ দিয়ে সারা বছর চলতে পারে। পার্বত্য অঞ্চলে অনেক পাহাড় পর্বত রয়ে গেছে। এইগুলো অনেক ফল বাগানের আওতায় আসতেছে। প্রতি বছর আবাদ বাড়ছে।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আম্রপালি আমের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তার কারণ হলো এই এলাকার আবহাওয়া আম উৎপাদনের জন্য অনুকুল ছিল। এবং কৃষকরা সময়মতো সঠিক পরিচর্যা করেছে। কৃষি বিভাগের পরার্মশ অনুযায়ী কাজ করেছে, যার কারণে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আলতাফ আরও হোসেন বলেন, আম্রপালি আমটা উদ্ভাবন করা হয়েছে কারণ এটি প্রতি বছর ফল দেয়। পোকা-মাকড় দমনের প্রদ্ধতিতে কৃষকরা এখন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। আম্রপালি আম জাতটা খাগড়াছড়ি জেলাতে আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় এ অঞ্চলে এটার ফলন ভালো দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, এই আম জেলার চাহিদা মেটানোর পরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় বাজারগুলোতে সরবারহ করছেন এবং ইদানিং এখানে রফতানিযোগ্য আম চাষ করা হচ্ছে। এই আমগুলো যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে ইউরোপের দেশের বিভিন্ন রফতানি হচ্ছে।
এই আম চাষ করে চাষিদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে সক্ষম হয়েছে। কৃষি অধিদফতরের জেলা, উপজেলা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আম চাষিদের আম পরিচর্যাসহ দব বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
কিশোর কুমার মজুমদার আরও বলেন, এখানে ৩ হাজার ৭৯৩ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়। ফলন হেক্টর প্রতি ১০ থেকে ১২ মন পাওয়া যায়। মৌসুমে প্রতি কেজি আম ৫০ টাকা করে বিক্রি হলে আমরা দেখেছি এই বছর কৃষকরা ২২শ কোটি টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন।
আগুনে পুড়লো ৬০ দোকান খাগড়াছড়িতে,খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অগ্নিকাণ্ডে ৬০টি দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে লারমা স্কয়ারের সামনের বাজারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুনে পুড়লো ৬০ দোকান খাগড়াছড়িতে
সুদীপ্তা স্টোরের মালিক বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে যান। মধ্যরাতে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি সবকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ঘণ্টাব্যাপী আগুনে পুড়ে যায় কয়েক কোটি টাকার মালামাল। এতে আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন দোকান মালিকরা।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
দীঘিনালা ফায়ার-সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই মধ্যে দোকানগুলো পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসার তিন ছাত্র খাগড়াছড়িতে,পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার হাজী সেকান্দার আলী হাফেজিয়া মারাসার তিন ছাত্র পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা থানায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আসরের নামাজ পড়তে গিয়ে তারা আর মাদরাসায় ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাদের সন্ধান মেলেনি। তারা সবাই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
হাজী সেকান্দার আলী হাফেজিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম জানান, বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর থেকে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসরের নামাজ পড়ে তারা আর মাদরাসায় ফিরে আসেনি। ছাত্রদের না পেয়ে অভিভাবকদের অবগত করা হয়েছে। মাদরাসারা পক্ষ থেকেও ছাত্রদের খোঁজা হচ্ছে।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
নিখোঁজ ছাত্রের অভিভাবক মো. আবুল বসর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আমার ভাতিজা মো. মনসুন আলম মাসুমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাদরাসা থেকে জানানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।
বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ছাত্রদের নিখোঁজের বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেনেছি। পড়ালেখার চাপ বেশি হওয়ায় ছাত্ররা পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, নিখোঁজের ঘটনায় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মাটিরাঙ্গা-থানায় জিডি করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে মেসেজ দেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ ছাত্রদের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হলো সৌদিফেরত ৪ শিশুর দায়িত্ব নেয়নি কেউ,অবশেষে খাগড়াছড়ি’র সরকারি মিশ্র শিশু পরিবারে ঠাঁই হয়েছে সৌদি প্রবাসী বাবা মৃত জাহাঙ্গীর আলম ও নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়ান মায়ের চার সন্তানের। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার চার মাস পরেও নিকটাত্মীয়দের কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তে তাদের ঠাঁই হয়েছে এই আশ্রয় কেন্দ্রে।
আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হলো সৌদিফেরত ৪ শিশুর দায়িত্ব নেয়নি কেউ
এখানেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত চার ভাই-বোন একসাথে বেড়ে উঠবে। এখানে থাকা, খাওয়ার পাশাপাশি লেখাপড়া ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পাবে মরুর দেশে জন্ম নেওয়া জামিলা, মোজাহিদ, ইয়াসমিন ও সামিয়া।
২১ বছর আগে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও জাগিরপাড়া এলাকা থেকে উন্নত জীবনের আশায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান এই চার শিশুর বাবা জাহাঙ্গীর আলম। প্রবাসে সবজি বিক্রেতা হিসেবে জীবিকা শুরু করেন তিনি।
সেখানে পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান এক নারীর সঙ্গে। পরিচয় গড়ায় পরিণয়ে। একে একে তাদের কোল জুড়ে আসে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান। স্ত্রী, চার সন্তানকে নিয়ে ভালোই কাটছিলো জাহাঙ্গীর আলমের প্রবাস জীবন।
বছর ছয়েক আগে হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে স্বামী-সন্তান ফেলে নিরুদ্দেশে যান জাহাঙ্গীর আলমের ইন্দোনেশিয়ান স্ত্রী। এরপর আর খোঁজ মেলেনি তার। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী অসুস্থ হয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় মারা যান জাহাঙ্গীর আলম। সেখানেই দাফন করা হয় তাকে।
মায়ের আকস্মিক নিরুদ্দেশ যাত্রা ও বাবার মৃত্যুতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে চার ভাই-বোন। এরপর তাদের ঠাঁই হয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স বোর্ড পরিচালিত জেদ্দার বাংলাদেশী দূতাবাসের সেইফ হোমে।
আট মাস পর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহায়তায় পিতৃভূমি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় তাদের। বিমানবন্দর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের তেঁজগাও সরকারি শিশু পরিবারে।
চার মাস সেখানেই ছিলো চার ভাই-বোন। এই সময়ের মধ্যে আত্মীয়দের কেউ দায়িত্ব নেয়নি তাদের। অবশেষে চার ভাই-বোনকে একসঙ্গে রাখার সরকারি সিদ্ধান্তে পাঠানো হয় খাগড়াছড়ি সরকারি মিশ্র শিশু পরিবারে।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
সব হারিয়েও এখন একসঙ্গে থাকতে পারাটাই পরম আনন্দের এই চার ভাই-বোনের কাছে।
সৌদি প্রবাসী মৃত জাহাঙ্গীর আলমের বড় মেয়েজানান, বাবা মারা গেছেন ১ বছর আগে। মা থেকেও নেই। পৃথিবীতে এখন আমাদের আপন বলতে শুধু আমরা চার ভাইবোন। সরকার আমাদের একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারি।
খাগড়াছড়ি সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক টোকেয়া বেগম জানান, খাগড়াছড়ি’র এই মিশ্র শিশু পরিবারে একসঙ্গে বেড়ে উঠবে এতিম চার ভাই-বোন। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এখানেই বেড়ে উঠবে তারা। এখন তাদের বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে শিশু পরিবার কর্তৃপক্ষ।
মা-বাবা হারানো এই চার ভাই-বোন সরকারি শিশু পরিবারে আদর-যত্নে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী। তাদের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এই মিশ্র শিশু পরিবারে সরকারি খরচে থাকা, খাওয়া ও পড়ালেখার পাশাপাশি মেয়েদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ ও ছেলেদের কারিগরি শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা ও বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও আছে।
বাংলাদেশে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত মোট ৮৫টি শিশু পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে একমাত্র মিশ্র শিশু পরিবার রয়েছে খাগড়াছড়িতে। জামিলারাসহ এখানে বর্তমানে আরও ৫০ জন ছেলে ও ৫০ জন মেয়ে শিশু রয়েছে।
সকালে রাস্তার পাশে মিললো যুবকের মরদেহ রাতে নিখোঁজ,পার্বত্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রাস্তার পাশ থেকে রাহুল কর্মকার (৩৩) নামে এক যুবকের-মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দীঘিনালার জামতলী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সকালে রাস্তার পাশে মিললো যুবকের মরদেহ রাতে নিখোঁজ
রাহুল কর্মকার দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের সুধীর মেম্বারপাড়া এলাকার মৃত তপন কর্মকারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের মাথায়, পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী দোকানদার মাইকেল দাশ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টায় আমার দোকান থেকে খিলি পান কেনেন রাহুল কর্মকার। এসময় রাহুলের স্ত্রী বাড়ি যাওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন। তিনি বাড়ি যাচ্ছেন বলে দোকান থেকে চলে যান।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
নিহতের জানান, গতকাল রাত ৯টার সময় ফোনে কথা হয়েছিল, সে বলেছে বাড়ি আসবে। পরে রাত ১২টা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
নিহতের ছোট ভাই জানান, রাত ১২টার সময়ও বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিতে থাকি। তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন জীবন কর্মকার।
দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার পাহাড়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে,শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষা শেষে পাহাড়ের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়ন করা হবে। একইসঙ্গে পাহাড়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদায়ন করা শিক্ষকরা যেন বদলি হতে না পারেন সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার পাহাড়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি রানী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী-উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার মানোন্নয়নে স্থানীয়ভাবে মেধাবীদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সামধান করা হবে।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এসএম রবিউল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল অবেদীন, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধূরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এম এ জব্বার, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও রাজকুমার সুইচিং প্রু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পুনর্মিলনী-উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল শোভাযাত্রা বের হয়ে মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বর ও প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে উৎসব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি থ্রিপিস জব্দ মাটিরাঙায়,খাগড়াছড়ি-সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা বিপুল পরিমাণ শাড়ি থ্রিপিস-জব্দ করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার ভোরে মাটিরাঙ্গা-ইউনিয়নের চালিতাছড়া এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি থ্রিপিস জব্দ মাটিরাঙায়
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় ১৭১ পিস ভারতীয় শাড়ি ও ৩২৪ পিস থ্রিপিস জব্দ করা হয়। এসময় কোনো চোরাকারবারিকে আটক করা যায়নি।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
৪০ খেদাছড়া ব্যাটালিয়নের জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ জানান, এসব শাড়ি থ্রিপিস সীতাকুণ্ড কাস্টম কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার শাড়ি থ্রিপিসের আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ টাকা।
খাগড়াছড়ি পর্যটকে মুখরিত,ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঝরনা-ঝিরি খ্যাত পর্যটন জনপদ খাগড়াছড়ি। ঈদের দিন থেকে জেলার বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গেল দুদিনে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকদের বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
খাগড়াছড়ি পর্যটকে মুখরিত
খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক (হর্টিকালচার সেন্টার) ও রিছাং ঝর্নাসহ খাগড়াছড়ির সবকটি পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও পর্যটকদের কাছে টানছে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ঝুলন্ত সেতু দেখে উচ্ছ্বসিত ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। এছাড়াও দুই পাহাড়কে সংযোগকারী ‘লাভ ব্রিজে’ পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে কথা হয় ফেনী থেকে আসা ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, নানা ব্যস্ততার মাঝেও ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন ক-ন্দ্র দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছেন বলেও জানান তারা।
নোয়াখালী থেকে আসা পর্যটক বলেন, এবার ভ্রমণে আলুটিলা পর্যটন-কেন্দ্রের নান্দনিকতা আমাকে বিমোহিত করেছে।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, এবারের ঈদেও পর্যটকদের পদচারনায় সরব ছিল আলুটিলা। কাছাকাছি সময়ে দুটি উৎসব হওয়ায় আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। তবে ঈদকে সামনে রেখে আরও ৪-৫দিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার খবর, খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা, খাগড়াছড়ি জেলার ইউনিয়ন, খাগড়াছড়ি জেলার ম্যাপ, খাগড়াছড়ি জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, খাগড়াছড়ি জেলা আকর্ষণীয় জায়গা, খাগড়াছড়ি জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত, খাগড়াছড়ি জেলার আয়তন