খাগড়াছড়িতে অযোগ্যদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ

মেধার মূল্যায়ন না করে ঘুষ ও প্রভাবশালীদের সুপারিশে অযোগ্যদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে খাগড়াছড়িতে। অভিভাবকরা বলছেন সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না ছেলে-মেয়েরা। অযোগ্যদের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে এসেছে স্থবিরতা। কমেছে স্বাক্ষরতার হার।

 

খাগড়াছড়িতে অযোগ্যদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ

 

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে খাগড়াছড়িতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন স্থানীয় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পরিষদের সদস্যসহ প্রভাবশালীরা। নিয়োগকর্তারা আঙুল ফুলে কলাগান হলেও সহায়-সম্বল বিক্রি করে চাকরি নিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। নিয়োগ জুটিলতায় বেতন পাননা কেউ কেউ। মানবেতর দিন কাটছে তাদের।

২০১১ সালের জুনে জেলা পরিষদে হস্তান্তর করা হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা চেয়ারম্যান থাকাকালীন এ পরিষদে শুরু হয় নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য ও দলীয়করণ। অভিযোগ আছে শুধু শিক্ষক নয়, জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত কৃষি,স্বাস্থ্য বিভাগ, যুব উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরেও শত শত নিয়োগ হয়েছে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদকে জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান। 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে,দায়ীদের বিচার হওয়া দরকার মনে করেন জেলা শিক্ষা অফিসার।  অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খাগড়াছড়িতে ৬ দফায় প্রায় ১২শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। বেশিরভাগেরই নিয়োগ হয়েছে টাকার বিনিময়ে, নেতাদের সুপারিশে মেধাহীন দলীয় নেতাকর্মীদের।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment