খাগড়াছড়িতে ব্রিজের নিচে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হতবাক পৌর শহরের বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলছেন, পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের তদারকিতে এমনটি ঘটেছে। তবে বিষয়টি অজান্তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।
খাগড়াছড়িতে অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণে ব্যয় ৮০ লাখ টাকা!
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরে খাগড়াছড়ির মহিলা কলেজ সড়কের অপর্ণা চৌধুরী পাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে চলে গেছে ড্রেন। কিন্তু এ ড্রেনের সঙ্গে উন্নয়নের কি সম্পর্ক বা এর কার্যকারিতা কি, সে সম্পর্কে কিছুই জানে না পৌরবাসী।
জানা গেছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে অর্থায়নে ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের ড্রেন নির্মাণের কাজ করে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ। ড্রেনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, ছড়ার ওপর ড্রেন নির্মাণ করার কারণে ছড়ার পরিধি ছোট হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। চলতি বছরে ৪ বার প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ি পৌরশহর। অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যার জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়নকে দায়ী করছেন নাগরিক সমাজ।
খাগড়াছড়ির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাংয়ের নির্বাহী পরিচালক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘ব্রিজের নিচে ড্রেন নির্মাণ অপরিকল্পিত উন্নয়নের অংশ। বৃষ্টির মধ্যেই ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখেছি। এখানে শহর মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে নাগরিকরা কিছুই না। শহরায়নের পরিকল্পনা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।’
খাগড়াছড়ি পৌর প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আরও ৪ থেকে ৫ মাস আগে ড্রেনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আমি প্রকৌশল বিভাগের সবাইকে ডেকেছি। তারা কীভাবে এটি করল জানতে চেয়েছি। আমি সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নিব।’
আরও দেখুনঃ
